সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ নভেম্বর ২০২১
জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে সময় কমিয়ে আনতে চাই: কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশন তারিখ
: 2021-11-12
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছি। লবণাক্ততা, খরা, জলমগ্নতা, উচ্চ তাপমাত্রাসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক সফলতাও এসেছে। কিন্তু এসব জাত উদ্ভাবনে অনেক সময় লেগে যায়। এটিকে আমরা কমিয়ে আনতে চাই। এক্ষেত্রে নেদারল্যাণ্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডের স্থানীয় সময় বিকালে দেশটির ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের (Wageningen University and Research) এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট লুইজি ও. ফ্রেসকোর (Louise O. Fresco) সাথে বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষি, খাদ্য ও লাইফ সাইন্সের গবেষণা এবং শিক্ষায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নিকট কৃষিমন্ত্রী লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) উপস্থাপন করেন। মন্ত্রী কৃষি গবেষণা বিশেষ করে দ্রুত ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্ট ক্রপ ভ্যারাইটি উদ্ভাবন, পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণকাল বাড়ানোর গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে এবং বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রেসিডেন্ট লুইজি ও. ফ্রেসকো এসব বিষয়ে সহযোগিতায় বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করার প্রতি জোর দেন।
এর আগে দুপুরে কৃষিমন্ত্রী ও ফার্মিং সিস্টেম বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ ড. রাজ্জাক ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ড প্ল্যান্ট ইকো-ফেনোটাইপিং সেন্টার (এনপিইসি) পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণকাল বাড়ানোর গবেষণাগার (ফেনোমিয়া ল্যাব) এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাত মোকাবেলায় জিন প্রযুক্তি ব্যবহার ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুব স্বল্প সময়ে নতুন জাত উদ্ভাবনে প্রযুক্তিগত গবেষণাগারের (ফেনোমিক্স ল্যাব) কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
একই দিন সকালে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক ভাখেনিঙেন শহরের মেয়র ফ্লুর ভার্মিউলেনের (Floor Vermeulen) সাথে বৈঠকে মিলিত হন এবং তাঁকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী ‘The Unfinished Memoirs’ বই উপহার দেন।
এসময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউভেন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, এসিআই এগ্রো লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফএইচ আনসারী, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম, এবং জেমকন গ্রুপের ডিরেক্টর কাজী ইনাম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Array
(
[id] => ffb09a77-1be6-459c-9041-db3bbdfa035f
[version] => 56
[active] => 1
[publish] => 1
[created] => 2015-03-11 05:45:02
[lastmodified] => 2025-06-23 17:35:33
[createdby] => 532
[lastmodifiedby] => 6787
[domain_id] => 6285
[office_id] =>
[menu_id] =>
[title_bn] => মোঃ রেজাউল আমিন
[title_en] => Md. Rezaul Amin
[body_bn] =>
[body_en] =>
[userpermissionsids] =>
[uploadpath] => 2db5cebb-60c1-4b12-8342-7ade8bb7f052
[userip] => 127.0.0.1
[useragent] => Mozilla/5.0 (Windows NT 10.0; Win64; x64) AppleWebKit/537.36 (KHTML, like Gecko) Chrome/137.0.0.0 Safari/537.36
[usergeo] =>
[is_right_side_bar] => 1
[office_head_photo] => Array
(
[0] => Array
(
[name] => 2025-06-18-08-48-24a63fd16fadd0586d3db3110a9c835e.jpg
[caption_bn] =>
[caption_en] =>
[link] =>
)
)
[office_head_description] => তুলা গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিষয়ে স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ ড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন ১৯৬১ সালে বরগুনা জেলার আমতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় হতে মাষ্টার্স অব সাইন্স ডিগ্রী এবং ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয় থেকে পিএইডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ডানিডা, এফএও, ইইউ এবং ওআইসি কর্তৃক আয়োজিত অনেক প্রশিক্ষণ কোর্স দেশে ও বিদেশে বিশেষ করে ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, কিরগিস্তান এবং তুরস্কে সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে তার চাকুরী জীবন শুরু করেন এবং বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে বিভিন্ন বিষয় ও ফসলের উপর বিগত ৩০ বছর যাবৎ সাফল্যজনকভাবে চাকুরী করে আসছেন। তিনি এক্সপার্ট ফেসিলেটেটর ও বাংলাদেশ অংশের কোঅর্ডিনেটর হিসেবে এফএও কর্তৃক বাস্তবায়িত ও ইইউ এর অর্থায়নে কটন আইপিএম বিষয়ক মহাদেশীয় প্রকল্পে ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি বিগত ২০ বছর যাবৎ তুলা উন্নয়ন বোর্ডে বিভিন্ন পদে এবং বর্তমানে তিনি নির্বাহী পরিচালক পদে কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন তুলা উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত আছেন। তিনি অনেক পেশাজীবী সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের একজন সদস্য। তাছাড়াও তিনি এগ্রোনমী সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিষদের সদস্য। পাশাপাশি তিনি কৃষিবিদ কো-অপারেটিভ সোসাইটি, বোটানিক্যাল সোসাইটি এবং মোহনা মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটর সম্মানিত সদস্য। বর্তমানে তিনি এশিয়ান কটন রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি। তিনি অনেক আনুষ্ঠানিক ও উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত আছেন। বিশেষ করে পুষ্টি ও উদ্যানতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা ও সম্প্রসারণ পদ্ধতির উপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের বিএজিএড এর একজন তালিকাভূক্ত প্রশিক্ষক। তাছাড়াও তুলা উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত চাষী ও মাঠকর্মী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তার অনেক গবেষণা প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ও সেমিনার প্রসেডিংস এ প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি গাইডলাইন ফর ফার্মার ফিল্ড স্কুল এবং তুলা উৎপাদন কর্মসূচি বিষয়ক বই লিখেছেন। তুলা গবেষণা ও উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তুলা গবেষণায় গতিশীলতা ও পরিপূর্ণতা আনয়ন, তুলাচাষ সম্প্রসারণ, বীজ উৎপাদন, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ, ঋণ বিতরণ সর্বোপরি তুলা চাষের উন্নয়নে তিনি সদা সচেষ্ট রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বল্প উৎপাদনশীল এলাকা যেমন: পাহাড়ী, খরাপ্রবন, লবণাক্ত এলাকায় তুলা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সাফল্যজনকভাবে তুলার আইপিএম প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি চাষীপর্যায়ে বিস্তারের মাধ্যমে তুলার বালাইদমন ব্যবস্থাপনার ব্যয় হ্রাসে অবদান রাখেন। তার উল্লেখযোগ্য অবদান হলো সনাতন ঝুম চাষের পরিবর্তে ধান-তুলার আন্তঃচাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তার ঐকান্তিক ইচ্ছায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডে বায়োটেকনোলজি গবেষণা শুরু হয়েছে যার ফলসরূপ কৃষকদের মধ্যে বিটি তুলা সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে স্বল্পমেয়াদী তুলার জাত উদ্ভাবন, লবণাক্ত ও খরসহনশীল জাত উদ্ভাবনে গবেষণা কাজ শুরু হয়েছে। তিনিই প্রথম দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল লবণাক্ত এলাকায় রোপা আমন সংগ্রহের পর যে জমি পতিত অবস্থায় থাকে সেখানে রবি তুলার চাষ প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল কটন এডভাইজরি কমিটি (আইসিএসি), ইউএসএ; জাতিসংঘ ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) সহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে তিনি সাফল্যজনকভাবে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তুরস্কের নাইজিলি কটন রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভারতের কেন্দ্রীয় তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলা উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
[office_head_des_bn] =>
[office_head_des_en] =>
[designation] =>
[designation_new_bn] => নির্বাহী পরিচালক(রুটিন দায়িত্ব)
[designation_new_en] => Executive Director(Routine Duties)
[weight] => -3
)
=======================
কেন্দ্রীয় ই-সেবা
জরুরি হেল্পলাইন নম্বর
