সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ অক্টোবর ২০২২
এপিএ-তে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ১ম স্থান অর্জন এবং তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ১ম বারের মতো তুলা উৎপাদনকারী ৪০টি দেশের মধ্যে International Cotton Researchers Association (ICRA) এর নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত
প্রকাশন তারিখ
: 2022-10-20
শুভেচ্ছা নিবেন। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বর্তমান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি হলো বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়, দপ্তর সংস্থাসহ আওতাধীন কার্যালসমূহ প্রতি বছর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করে থাকে এবং বছর শেষে উক্ত চুক্তি মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ৫টি কর্মপরিকল্পনা (NIS, Innovation, GRS, RTI, Citizen Charter) এবং মূল এপিএ এর কর্মসম্পাদন সূচক চুড়ান্ত মূল্যায়নে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৭ টি সংস্থার মধ্যে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ১ম স্থান অর্জন করেছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের এ অর্জন প্রথমবারের মতো হয়েছে। এই অর্জন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সকলের জন্য একটি জাতীয় অর্জন এবং অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ১ম বারের মতো তুলা উৎপাদনকারী ৪০টি দেশের মধ্যে International Cotton Researchers Association (ICRA) এর নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এই অর্জন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
বিশ্ব তুলা গবেষণা কনফারেন্স-৭ (WCRC-7) এ বাংলাদেশের মসলিন ঐতিহ্যের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। কনফারেন্সে ৪০টি দেশের ২০০ শতাধিক অংশগ্রহণকারীদের মাঝে মসলিন ঐতিহ্যের ফুটি কার্পাস অনুসন্ধানে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ডকুমেন্টারী উপস্থাপন করা হয়। এ উপস্থাপনা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ভাবমুর্তিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আরো উজ্জল করেছে।
এছাড় বাংলাদেশের তুলা গবেষণাকে এগিয়ে নিতে মিশরের কায়রোতে গত ৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মিশরের তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউট (CRI) এর সাথে বাংলাদেশের তুলা উন্নয়ন বোর্ড এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মিশর বিশ্বের উৎকৃষ্ট মানের তুলা উৎপাদন করে থাকে বিধায় দেশের তুলা উৎপাদন ও মান উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক আগামীতে আন্তর্জাতিক প্রকল্প প্রাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিদেশের সাথে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের এটিই প্রথম স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক।
উপর্যুক্ত অর্জনসমূহ সকল প্রোগ্রামে প্রচারের মাধ্যমে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। এ রকম আরো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের জন্য সকলকে উৎসাহের সাথে কাজ করার জন্য অনুরোধ করছি।
Array
(
[id] => ffb09a77-1be6-459c-9041-db3bbdfa035f
[version] => 53
[active] => 1
[publish] => 1
[created] => 2015-03-11 05:45:02
[lastmodified] => 2025-06-03 12:26:49
[createdby] => 532
[lastmodifiedby] => 564
[domain_id] => 6285
[office_id] =>
[menu_id] =>
[title_bn] =>
[title_en] =>
[body_bn] =>
[body_en] =>
[userpermissionsids] =>
[uploadpath] => 2db5cebb-60c1-4b12-8342-7ade8bb7f052
[userip] => 127.0.0.1
[useragent] => Mozilla/5.0 (Windows NT 10.0; Win64; x64) AppleWebKit/537.36 (KHTML, like Gecko) Chrome/137.0.0.0 Safari/537.36
[usergeo] =>
[is_right_side_bar] => 1
[office_head_photo] => Array
(
[0] => Array
(
[name] =>
[caption_bn] =>
[caption_en] =>
[link] =>
)
)
[office_head_description] => তুলা গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিষয়ে স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ ড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন ১৯৬১ সালে বরগুনা জেলার আমতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় হতে মাষ্টার্স অব সাইন্স ডিগ্রী এবং ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয় থেকে পিএইডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ডানিডা, এফএও, ইইউ এবং ওআইসি কর্তৃক আয়োজিত অনেক প্রশিক্ষণ কোর্স দেশে ও বিদেশে বিশেষ করে ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, কিরগিস্তান এবং তুরস্কে সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে তার চাকুরী জীবন শুরু করেন এবং বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে বিভিন্ন বিষয় ও ফসলের উপর বিগত ৩০ বছর যাবৎ সাফল্যজনকভাবে চাকুরী করে আসছেন। তিনি এক্সপার্ট ফেসিলেটেটর ও বাংলাদেশ অংশের কোঅর্ডিনেটর হিসেবে এফএও কর্তৃক বাস্তবায়িত ও ইইউ এর অর্থায়নে কটন আইপিএম বিষয়ক মহাদেশীয় প্রকল্পে ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি বিগত ২০ বছর যাবৎ তুলা উন্নয়ন বোর্ডে বিভিন্ন পদে এবং বর্তমানে তিনি নির্বাহী পরিচালক পদে কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন তুলা উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত আছেন। তিনি অনেক পেশাজীবী সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের একজন সদস্য। তাছাড়াও তিনি এগ্রোনমী সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিষদের সদস্য। পাশাপাশি তিনি কৃষিবিদ কো-অপারেটিভ সোসাইটি, বোটানিক্যাল সোসাইটি এবং মোহনা মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটর সম্মানিত সদস্য। বর্তমানে তিনি এশিয়ান কটন রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি। তিনি অনেক আনুষ্ঠানিক ও উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত আছেন। বিশেষ করে পুষ্টি ও উদ্যানতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা ও সম্প্রসারণ পদ্ধতির উপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের বিএজিএড এর একজন তালিকাভূক্ত প্রশিক্ষক। তাছাড়াও তুলা উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত চাষী ও মাঠকর্মী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তার অনেক গবেষণা প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ও সেমিনার প্রসেডিংস এ প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি গাইডলাইন ফর ফার্মার ফিল্ড স্কুল এবং তুলা উৎপাদন কর্মসূচি বিষয়ক বই লিখেছেন। তুলা গবেষণা ও উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তুলা গবেষণায় গতিশীলতা ও পরিপূর্ণতা আনয়ন, তুলাচাষ সম্প্রসারণ, বীজ উৎপাদন, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ, ঋণ বিতরণ সর্বোপরি তুলা চাষের উন্নয়নে তিনি সদা সচেষ্ট রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বল্প উৎপাদনশীল এলাকা যেমন: পাহাড়ী, খরাপ্রবন, লবণাক্ত এলাকায় তুলা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সাফল্যজনকভাবে তুলার আইপিএম প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি চাষীপর্যায়ে বিস্তারের মাধ্যমে তুলার বালাইদমন ব্যবস্থাপনার ব্যয় হ্রাসে অবদান রাখেন। তার উল্লেখযোগ্য অবদান হলো সনাতন ঝুম চাষের পরিবর্তে ধান-তুলার আন্তঃচাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তার ঐকান্তিক ইচ্ছায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডে বায়োটেকনোলজি গবেষণা শুরু হয়েছে যার ফলসরূপ কৃষকদের মধ্যে বিটি তুলা সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে স্বল্পমেয়াদী তুলার জাত উদ্ভাবন, লবণাক্ত ও খরসহনশীল জাত উদ্ভাবনে গবেষণা কাজ শুরু হয়েছে। তিনিই প্রথম দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল লবণাক্ত এলাকায় রোপা আমন সংগ্রহের পর যে জমি পতিত অবস্থায় থাকে সেখানে রবি তুলার চাষ প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল কটন এডভাইজরি কমিটি (আইসিএসি), ইউএসএ; জাতিসংঘ ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) সহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে তিনি সাফল্যজনকভাবে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তুরস্কের নাইজিলি কটন রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভারতের কেন্দ্রীয় তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলা উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
[office_head_des_bn] =>
[office_head_des_en] =>
[designation] =>
[designation_new_bn] => নির্বাহী পরিচালক
[designation_new_en] => Executive Director
[weight] => 1
)
=======================
কেন্দ্রীয় ই-সেবা
জরুরি হেল্পলাইন নম্বর
