সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ August ২০২৪
তুলা ফসলের জরুরী বার্তা।
প্রকাশন তারিখ
: 2023-11-01
তুলা ফসলের জরুরী বার্তা।
উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক নিম্নচাপ জনিত কারনে কিছু কিছু তুলার জমির প্রথম ফ্লাসের ফুল ও কুড়ি ঝড়ে পড়েছে এবং কোন কোন এলাকায় ফসল পানিকে নিমজ্জিত হয়ে ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিপূর্বেও অত্র দপ্তর হতে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্থায় তুলা ফসলের অধিক ফলন নিশ্চিকরণের জন্য নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা অনুসরনে ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরার জন্য বলা হলো।
১।সেচ ও সার প্রয়োগঃ
অধিক ফলনের জন্য সেচ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে গাছে ফুল-কুড়ি আসার সময় যদি সেচের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই দেরি না করে সেচ দিতে হবে। সেই সাথে প্রয়োজনে বিঘাপ্রতি ৮ কেজি ইউরিয়া/ডিএপি ও ৫ কেজি পটাশ সার ও ক্ষেত্র বিশেষে বোরণ ও জিপসাম মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া সেচের সুবিধা বিহীন জমিতে ইউরিয়া, পটাশ ও বোরন সার ফলিয়ার স্প্রে করতে হবে । এছাড়াও গাছের গোড়া বাধাই করা অত্যন্ত জরুরী এবং অতি খরা রোধে মালচিং করে দিতে হবে।
২।ফুল, কুড়ি ও বোল ঝড়া রোধঃ
ফুল, কুড়ি ও বোল ঝড়া রোধের জন্য ন্যাফথালিন অ্যাসিটিক অ্যাসিড, জিবারালিক এসিড বা এ জাতীয় গ্রোথ হরমোন পরিমানমত ব্যবহার করতে হবে।
৩। বোল পঁচা রোগ দমনঃ
অতিরিক্ত কুয়াঁশা জনিত কারণে তুলা ফসলে বোল পঁচা রোগ দমনের জন্য ম্যানকোজেব গ্রুপের অথবা মিশ্র গ্রুপের ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
৪। জ্যাসিড নিয়ন্ত্রনঃ
জ্যাসিড নিয়ন্ত্রনের জন্য গাছের পাতার নীচে স্প্রে করতে হবে এবং পাতার শিরায় জ্যাসিডের ডিম ফুটে আবারো সংখ্যায় বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রোধের জন্য একটি স্প্রের ৩ দিনের অন্য গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। আর আঁচা পোকার আক্রমন দেখা দিলে হাত বাছাই করে ২ গ্রুপের কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও বোলওয়ার্ম পোকা দমনের জন্য হাতবাছাই পূর্বক ২য় গ্রুপের উপযুক্ত কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। জমিতে ডাল অথবা ফেরোমন ট্র্যাপ স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৫। রুপালী বাম্পার প্রয়োগঃ
ফসলের অঙ্গজ বৃদ্ধির ধরণ অনুযায়ী গাছের বৃদ্ধি রোধ, গাছ শক্ত, পাতা পুরু ও গাঢ় সবুজ করার জন্য প্রয়োজনে প্রতি লিটার পানিতে ২ এমএল রুপালী বাম্পার মিশ্রিত করে গাছের শীর্ষ ডগায় স্প্রে করতে হবে। গাছের বৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর ৩-৫ বার রুপালী বাম্পার স্প্রে করতে হবে।
তুলা ফসলের অবস্থা সম্পর্কে সিসিডিওগন নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট উপপরিচালককে অবহিত করবেন এবং উপপরিচালকগন নিয়মিতভাবে ফসলের অবস্থা এবং গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে নিম্নস্বাক্ষরকারীকে অবহিত করবেন। ফসলের সঠিক পরির্চযা নিশ্চিতকরণে মাঠ কর্মী/কর্মকর্তাদের জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ছুটি পরিহার করতে হবে এবং সকল মাঠ কর্মী/কর্মকর্তাদের স্টেশনে অবস্থান করে ফসলের পরির্চযা নিশ্চিত করতে হবে। সদর দপ্তরের অঞ্চল ভিত্তিক ফোকাল পয়েন্টদেরকে সার্বক্ষনিকভাবে মাঠের সাথে যোগাযোগ রেখে ফসলের পরির্চযা নিশ্চিত করতে হবে।
Array
(
[id] => ffb09a77-1be6-459c-9041-db3bbdfa035f
[version] => 56
[active] => 1
[publish] => 1
[created] => 2015-03-11 05:45:02
[lastmodified] => 2025-06-23 17:35:33
[createdby] => 532
[lastmodifiedby] => 6787
[domain_id] => 6285
[office_id] =>
[menu_id] =>
[title_bn] => মোঃ রেজাউল আমিন
[title_en] => Md. Rezaul Amin
[body_bn] =>
[body_en] =>
[userpermissionsids] =>
[uploadpath] => 2db5cebb-60c1-4b12-8342-7ade8bb7f052
[userip] => 127.0.0.1
[useragent] => Mozilla/5.0 (Windows NT 10.0; Win64; x64) AppleWebKit/537.36 (KHTML, like Gecko) Chrome/137.0.0.0 Safari/537.36
[usergeo] =>
[is_right_side_bar] => 1
[office_head_photo] => Array
(
[0] => Array
(
[name] => 2025-06-18-08-48-24a63fd16fadd0586d3db3110a9c835e.jpg
[caption_bn] =>
[caption_en] =>
[link] =>
)
)
[office_head_description] => তুলা গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিষয়ে স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ ড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন ১৯৬১ সালে বরগুনা জেলার আমতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় হতে মাষ্টার্স অব সাইন্স ডিগ্রী এবং ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয় থেকে পিএইডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ডানিডা, এফএও, ইইউ এবং ওআইসি কর্তৃক আয়োজিত অনেক প্রশিক্ষণ কোর্স দেশে ও বিদেশে বিশেষ করে ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, কিরগিস্তান এবং তুরস্কে সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে তার চাকুরী জীবন শুরু করেন এবং বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে বিভিন্ন বিষয় ও ফসলের উপর বিগত ৩০ বছর যাবৎ সাফল্যজনকভাবে চাকুরী করে আসছেন। তিনি এক্সপার্ট ফেসিলেটেটর ও বাংলাদেশ অংশের কোঅর্ডিনেটর হিসেবে এফএও কর্তৃক বাস্তবায়িত ও ইইউ এর অর্থায়নে কটন আইপিএম বিষয়ক মহাদেশীয় প্রকল্পে ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি বিগত ২০ বছর যাবৎ তুলা উন্নয়ন বোর্ডে বিভিন্ন পদে এবং বর্তমানে তিনি নির্বাহী পরিচালক পদে কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন তুলা উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত আছেন। তিনি অনেক পেশাজীবী সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের একজন সদস্য। তাছাড়াও তিনি এগ্রোনমী সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিষদের সদস্য। পাশাপাশি তিনি কৃষিবিদ কো-অপারেটিভ সোসাইটি, বোটানিক্যাল সোসাইটি এবং মোহনা মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটর সম্মানিত সদস্য। বর্তমানে তিনি এশিয়ান কটন রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি। তিনি অনেক আনুষ্ঠানিক ও উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত আছেন। বিশেষ করে পুষ্টি ও উদ্যানতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা ও সম্প্রসারণ পদ্ধতির উপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের বিএজিএড এর একজন তালিকাভূক্ত প্রশিক্ষক। তাছাড়াও তুলা উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত চাষী ও মাঠকর্মী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তার অনেক গবেষণা প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ও সেমিনার প্রসেডিংস এ প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি গাইডলাইন ফর ফার্মার ফিল্ড স্কুল এবং তুলা উৎপাদন কর্মসূচি বিষয়ক বই লিখেছেন। তুলা গবেষণা ও উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তুলা গবেষণায় গতিশীলতা ও পরিপূর্ণতা আনয়ন, তুলাচাষ সম্প্রসারণ, বীজ উৎপাদন, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ, ঋণ বিতরণ সর্বোপরি তুলা চাষের উন্নয়নে তিনি সদা সচেষ্ট রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বল্প উৎপাদনশীল এলাকা যেমন: পাহাড়ী, খরাপ্রবন, লবণাক্ত এলাকায় তুলা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সাফল্যজনকভাবে তুলার আইপিএম প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি চাষীপর্যায়ে বিস্তারের মাধ্যমে তুলার বালাইদমন ব্যবস্থাপনার ব্যয় হ্রাসে অবদান রাখেন। তার উল্লেখযোগ্য অবদান হলো সনাতন ঝুম চাষের পরিবর্তে ধান-তুলার আন্তঃচাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তার ঐকান্তিক ইচ্ছায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডে বায়োটেকনোলজি গবেষণা শুরু হয়েছে যার ফলসরূপ কৃষকদের মধ্যে বিটি তুলা সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে স্বল্পমেয়াদী তুলার জাত উদ্ভাবন, লবণাক্ত ও খরসহনশীল জাত উদ্ভাবনে গবেষণা কাজ শুরু হয়েছে। তিনিই প্রথম দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল লবণাক্ত এলাকায় রোপা আমন সংগ্রহের পর যে জমি পতিত অবস্থায় থাকে সেখানে রবি তুলার চাষ প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল কটন এডভাইজরি কমিটি (আইসিএসি), ইউএসএ; জাতিসংঘ ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) সহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে তিনি সাফল্যজনকভাবে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তুরস্কের নাইজিলি কটন রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভারতের কেন্দ্রীয় তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলা উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
[office_head_des_bn] =>
[office_head_des_en] =>
[designation] =>
[designation_new_bn] => নির্বাহী পরিচালক(রুটিন দায়িত্ব)
[designation_new_en] => Executive Director(Routine Duties)
[weight] => -3
)
=======================
কেন্দ্রীয় ই-সেবা
জরুরি হেল্পলাইন নম্বর
