সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫
চুয়াডাঙ্গায় তুলাচাষি সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
প্রকাশন তারিখ
: 2015-12-29
চুয়াডাঙ্গায় সম্প্রসারিত তুলাচাষ প্রকল্পের (ফেজ-১) আওতায় তুলাচাষি সমাবেশ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গা জোনের আয়োজনে গত 19-12-2015 রোজ শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুন্সিপাড়ায় একটি তুলাক্ষেতের পাশে সমাবেশে বিপুল সংখ্যক তুলাচাষি অংশগ্রহণ করেন।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান।
তুলা উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশীষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্প্রসারিত তুলাচাষ প্রকল্পের (ফেজ-১) প্রকল্প পরিচালক ফরহাদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক খাইরুল আবরার, তুলাচাষি মুনসুর আলী, শামসুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও সোহেল রানা, চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের যশোর আঞ্চলিক কর্মকর্তা জাফর আলী, চুয়াডাঙ্গা জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা খোন্দকার এনামুল কবীরসহ কৃষি সম্প্রসারণ ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সমাবেশে তুলাচাষিরা অভিযোগ করেন ২০১৩ সালে প্রতিমণ তুলার দাম ২ হাজার ৫০০ টাকা হলেও গত বছর ১ হাজার ৯০০ টাকা করা হয়। এসব কারণে অনেকে তুলাচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে উন্নতমানের হাইব্রিড বীজসহ উপকরণ সরবরাহ এবং তুলার ন্যায্যমূল্য দাবি করা হয় সভায়।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন জানান, দেশের মোট চাহিদার ৯৭ ভাগ তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এজন্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে থাকে। অথচ পরিকল্পিতভাবে তুলা উৎপাদন করতে পারলে চাহিদার অন্তত ২০ শতাংশ উৎপাদন করা সম্ভব। এ বছর জিনাররা ১ হাজার ৭০০ টাকা দাম ঘোষণা দিলেও দর কষাকাষির পর তা ২ হাজার ১০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ বলেন, চাষিরা এখন কোনো ফসল আবাদ করার আগে অন্যান্য ফসলের সাথে লাভ-ক্ষতির তুলনা করেন। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রযুক্তি ও উন্নত জাত সংগ্রহে বর্তমান সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে চলেছে। দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসর্ম্পূন্ন হয়েছে, বস্ত্রখাতেও স্বয়ংসম্পন্ন হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
Array
(
[id] => ffb09a77-1be6-459c-9041-db3bbdfa035f
[version] => 56
[active] => 1
[publish] => 1
[created] => 2015-03-11 05:45:02
[lastmodified] => 2025-06-23 17:35:33
[createdby] => 532
[lastmodifiedby] => 6787
[domain_id] => 6285
[office_id] =>
[menu_id] =>
[title_bn] => মোঃ রেজাউল আমিন
[title_en] => Md. Rezaul Amin
[body_bn] =>
[body_en] =>
[userpermissionsids] =>
[uploadpath] => 2db5cebb-60c1-4b12-8342-7ade8bb7f052
[userip] => 127.0.0.1
[useragent] => Mozilla/5.0 (Windows NT 10.0; Win64; x64) AppleWebKit/537.36 (KHTML, like Gecko) Chrome/137.0.0.0 Safari/537.36
[usergeo] =>
[is_right_side_bar] => 1
[office_head_photo] => Array
(
[0] => Array
(
[name] => 2025-06-18-08-48-24a63fd16fadd0586d3db3110a9c835e.jpg
[caption_bn] =>
[caption_en] =>
[link] =>
)
)
[office_head_description] => তুলা গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিষয়ে স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ ড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন ১৯৬১ সালে বরগুনা জেলার আমতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় হতে মাষ্টার্স অব সাইন্স ডিগ্রী এবং ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয় থেকে পিএইডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ডানিডা, এফএও, ইইউ এবং ওআইসি কর্তৃক আয়োজিত অনেক প্রশিক্ষণ কোর্স দেশে ও বিদেশে বিশেষ করে ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, কিরগিস্তান এবং তুরস্কে সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে তার চাকুরী জীবন শুরু করেন এবং বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে বিভিন্ন বিষয় ও ফসলের উপর বিগত ৩০ বছর যাবৎ সাফল্যজনকভাবে চাকুরী করে আসছেন। তিনি এক্সপার্ট ফেসিলেটেটর ও বাংলাদেশ অংশের কোঅর্ডিনেটর হিসেবে এফএও কর্তৃক বাস্তবায়িত ও ইইউ এর অর্থায়নে কটন আইপিএম বিষয়ক মহাদেশীয় প্রকল্পে ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি বিগত ২০ বছর যাবৎ তুলা উন্নয়ন বোর্ডে বিভিন্ন পদে এবং বর্তমানে তিনি নির্বাহী পরিচালক পদে কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন তুলা উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত আছেন। তিনি অনেক পেশাজীবী সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের একজন সদস্য। তাছাড়াও তিনি এগ্রোনমী সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিষদের সদস্য। পাশাপাশি তিনি কৃষিবিদ কো-অপারেটিভ সোসাইটি, বোটানিক্যাল সোসাইটি এবং মোহনা মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটর সম্মানিত সদস্য। বর্তমানে তিনি এশিয়ান কটন রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি। তিনি অনেক আনুষ্ঠানিক ও উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত আছেন। বিশেষ করে পুষ্টি ও উদ্যানতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা ও সম্প্রসারণ পদ্ধতির উপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের বিএজিএড এর একজন তালিকাভূক্ত প্রশিক্ষক। তাছাড়াও তুলা উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত চাষী ও মাঠকর্মী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তার অনেক গবেষণা প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ও সেমিনার প্রসেডিংস এ প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি গাইডলাইন ফর ফার্মার ফিল্ড স্কুল এবং তুলা উৎপাদন কর্মসূচি বিষয়ক বই লিখেছেন। তুলা গবেষণা ও উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তুলা গবেষণায় গতিশীলতা ও পরিপূর্ণতা আনয়ন, তুলাচাষ সম্প্রসারণ, বীজ উৎপাদন, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ, ঋণ বিতরণ সর্বোপরি তুলা চাষের উন্নয়নে তিনি সদা সচেষ্ট রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বল্প উৎপাদনশীল এলাকা যেমন: পাহাড়ী, খরাপ্রবন, লবণাক্ত এলাকায় তুলা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সাফল্যজনকভাবে তুলার আইপিএম প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি চাষীপর্যায়ে বিস্তারের মাধ্যমে তুলার বালাইদমন ব্যবস্থাপনার ব্যয় হ্রাসে অবদান রাখেন। তার উল্লেখযোগ্য অবদান হলো সনাতন ঝুম চাষের পরিবর্তে ধান-তুলার আন্তঃচাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তার ঐকান্তিক ইচ্ছায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডে বায়োটেকনোলজি গবেষণা শুরু হয়েছে যার ফলসরূপ কৃষকদের মধ্যে বিটি তুলা সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে স্বল্পমেয়াদী তুলার জাত উদ্ভাবন, লবণাক্ত ও খরসহনশীল জাত উদ্ভাবনে গবেষণা কাজ শুরু হয়েছে। তিনিই প্রথম দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল লবণাক্ত এলাকায় রোপা আমন সংগ্রহের পর যে জমি পতিত অবস্থায় থাকে সেখানে রবি তুলার চাষ প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল কটন এডভাইজরি কমিটি (আইসিএসি), ইউএসএ; জাতিসংঘ ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) সহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে তিনি সাফল্যজনকভাবে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তুরস্কের নাইজিলি কটন রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভারতের কেন্দ্রীয় তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলা উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
[office_head_des_bn] =>
[office_head_des_en] =>
[designation] =>
[designation_new_bn] => নির্বাহী পরিচালক(রুটিন দায়িত্ব)
[designation_new_en] => Executive Director(Routine Duties)
[weight] => -3
)
=======================
কেন্দ্রীয় ই-সেবা
জরুরি হেল্পলাইন নম্বর
